
প্রকাশিত: Mon, Feb 6, 2023 4:35 PM আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 7:08 PM
বইমেলা যে কারও লেখক হওয়ার অভিলাষ পূরণের জায়গা!
কুলদা রায় : বইমেলাটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ। যে কারোরই লেখক হওয়ার অভিলাষ পূরণ করার জায়গা। এটা ভালো কথা নয়। মেলায় চার পাঁচ হাজার বই বের হয়। কিন্তু ভালো বইয়ের সংখ্যা খুবই কম। কারো কারো মতে, তিন চারশোর বেশি মানোত্তীর্ণ বই প্রকাশিত হয় না। বইমেলায় দুর্বল অসম্পাদিত বইপত্র ছাপা হচ্ছে। একধরনের প্রকাশক লেখকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বই ছাপিয়ে দিচ্ছেন। এসব বই আবার লেখকরা পুশিং সেল করছেন অথবা আত্মীয়-স্বজনদের মেলায় এনে হাতে তুলে দিচ্ছেন। একজন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর বই দুই দিনে ৩০০০ কপি বিক্রি হয়েছে বলে খবরে পড়েছি। তার ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার কর্মচারি কর্মকর্তারা এই তিন হাজার বইয়ের ক্রেতাই হবে বলে মনে হয়। এ ধরনের মশকরার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। হাজার হাজার বই লেখা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। নিউইয়র্কে একজন প্রবীণ সাংবাদিক থাকেন। তিনি আওয়ামী বিরোধী। দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি জামায়াত ঘরানায় বক্তৃতা বিবৃতি দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতিবাচক সমালোচনা করেছেন। এখন খবর পেলাম বঙ্গবন্ধুর স্তুতি করে নিয়ে বই লিখে ফেলেছেন। তিনি রবীন্দ্রনাথকে পছন্দ করেন না। পরিস্থিতি এমন যে, নিউ ইয়র্কে রবীন্দ্র উৎসবের উপদেষ্টা হয়ে বসেছেন। বেচারা রবীন্দ্র-উৎসব।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দুটি বই লিখেছেন একজন গ্রাম্য কবিয়াল। তিনি কায়েদে আজম, আয়ুব খান, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া, হাসিনাকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন। হয়তো গোলাম আজম, খোন্দকার মোস্তাক, ইয়াহিয়া খানকে নিয়েও লেখাপত্র থাকতে পারে। তার মান সাহিত্য পদবাচ্য নয়। ব্যক্তিগতভাবে একটি খুনের আসামী হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত হয়েছিলেন। জেলেও ছিলেন। কিন্তু জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে তার সাজা মওকুফ করে দেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে জিয়ার রাজনীতিতে জড়িত হন। এই কবিয়াল বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বই লেখার কারণে তার আমলা ছেলের তদ্বিরে গেল বছরে মরণোত্তর সাহিত্যে স্বাধীনতা পদক পেয়ে গেছেন।
এই একটা হুজুগ চলছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বইয়ের অধিকাংশই নিম্নমানের। বেশির ভাগই কপি পেস্ট। নকল। এই নিম্নমানের বইগুলোর কোনো সাহিত্য মূল্য নেই। ঐতিহাসিকমূল্যও নেই। সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য ধান্ধাবাজ লেখক, রাজনীতিক, আমলা, ভুয়া সাংবাদিকরা এসব বইয়ের লেখক। সরকারি টাকায় এসব বইগুলো কেনা হচ্ছে। পাঠানো হচ্ছে সরকারি গ্রন্থাগারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে সরে গেলেই এসব বইকে গার্বেজ করা হবে। ওইসব ধান্ধাবাজ লেখকরা পরবর্তী ক্ষমতাসীন দলের নেতাকে নিয়ে বই লিখবেন। বইমেলায় এসব বই সয়লাব হয়েছিল। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
